বগুড়া প্রতিনিধি : [২] মৃত্যুর প্রায় ৫বছর পর ক্ল-লেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে পিবিআই কে অনেক কাঠখড়ি পুরতে হয়েছে। ৯বিঘা জমির লোভে আপন মামা বুলুকে বিপদে ফেলতে তার বাড়িতে বন্ধু শাহীনকে হত্যা করা হয়।
[৩] এই হত্যা মামলায় মামা বুলুকে ফাঁসানোর মূল পরিকল্পনা ছিল আপন ভাগ্নে রিপন সরদার ও তারা মিয়া।
[৪] এ ঘটনায় রিপনসহ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। নিহত শাহীনের বাড়ি পাশের উপজেলা শিবগঞ্জে। তিনি বন্ধুদের নেশার আড্ডায় যোগ দিতে কাহালুতে গিয়েছিল।
[৫] শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
[৬] পিবিআই বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, কাহালুর কালাই নাটাইপাড়া এলাকার আক্তার হোসেন বুলুর বাড়ির আঙ্গিনায় ২০১৭ সালের ১১ জুন ভোরে, নিহত শাহীনের লাম পাওয়া যায়। পরে তার স্ত্রী নূর বানু বাদী হয়ে কাহালু থানায় অজ্ঞাতানামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর প্রায় তিন বছর থানা পুলিশ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় ব্যর্থ হয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় আদালতে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে এই ক্লু-লেস হত্যা মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের ওপর দায়িত্ব দেন। পরে এই মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআইয়ের এসআই আকরাম হোসেন।
[৭] এসআই আকরাম হোসেন দীর্ঘসময় তদন্ত শেষে গেলো বুধবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আক্তার হোসেন বুলুর আপন ভাগ্নে একই এলাকার রিপন সরদারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিপন পুলিশকে জানায়, তার মামার প্রায় ৯ বিঘা জমি আছে। সেগুলো দখলে নিতে এলাকায় তার পরিচিত কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তিনি একটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মামাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন।
[৮] সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন গভীর রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহীনসহ ৫জন চুরি করার কথা বলে রিপন সরদারের মামা আক্তার হোসেন বুুলুর বাড়িতে ঢোকে। এরপর রিপন সরদারের বন্ধু শাহীন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে গলা কেটে হত্যা করে রিপন সরদার, আবুল কালাম আজাদ তারা মিয়া, আনিছুর রহমান পাপন এবং সোহরাব হোসেন।
[৯] গ্রেফতারকৃত ৪ জনের মধ্যে রিপন ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি তিন জনের মধ্যে তারা মিয়া রিমান্ডে এবং সোহরাব ও পাপন পিবিআইয়ের হেফাজতে আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ