বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ি তো এগুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আবার মুনাফা করে কীভাবে?? এই মুনাফা করাটাই তো অবৈধ! এই অবৈধ আয়ের উপর আবার ট্যাক্স কি ?? আমরা শুরু থেকেই বারবার বলেছিলাম এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা প্রসারে স্থাপিত হচ্ছে না বরং শিক্ষা নিয়ে মুনাফা করার অভিপ্রায়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তখন কর্তা ব্যক্তিরা তা আমলে নেননি। এই বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক আয় শত কোটি টাকার উপরে এমন খবর পত্রিকায় এসেছে। যেখানে কথা ছিল শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ততটাই নির্ধারণ করা হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা যায়। অথচ এরা মেতেছে লুটপাটের মহোৎসবে, বছর বছর ফি বৃদ্ধির পায়তারায়। আজকে সেই প্রতিষ্ঠানের এই অবৈধ আয়কে বৈধতা দেয়ার রাস্তা তৈরি করছে সরকার। বলছে লুট কর ভাল, আমাদেরও ভাগ চাই।
অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই নিম্নমানের বা উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নাই, কোষাধ্যক্ষ নাই। কয়েকটা ফ্লোর নিয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন দাবি করার পরেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি নির্ধারণের কোন অভিন্ন নীতিমালা নাই। ফলে যে যার মত করে টিউশন ফি নির্ধারণ করছে। তাই আজ আবার শিক্ষার্থীদের মনে এই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে এই যে কর ধার্য্য করা হয়েছে মালিকদের লাভের উপর তা আবার তাদের টিউশন ফি এ যুক্ত করে নতুন করে শিক্ষাজীবনের ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে না তো?
১। শিক্ষার উপর কোন কর আরোপ করা চলবে না।
২। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কীভাবে মুনাফা করে তার তদন্ত করতে হবে। এই অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমাতে হবে।
৩। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, শিক্ষাবীদ-বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে এই নীতিমালা করতে হবে।
৪। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান এবং উচ্চশিক্ষার শর্ত পূরণে ইউজিসি ও সরকারের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।