শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ০৪:০৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ০৪:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: কোন প্রতিষ্ঠানের আদি অবস্থার পরিবর্তন চাইলে একটা ড্রাইভিং ফোর্স লাগবে

কামরুল হাসান মামুন:  নিউটনের প্রথম সূত্র বলে কোন বস্তুর উপর লব্ধি বল বা ড্রাইভিং ফোর্স যদি শূন্য হয় বস্তুটার আদি অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে। আর নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র বলে বস্তুর আদি অবস্থা পরিবর্তনের জন্য একটা ড্রাইভিং ফোর্স বা লব্ধি বল লাগবে।

ঠিক তেমনি কোন প্রতিষ্ঠানের আদি অবস্থার পরিবর্তন চাইলে একটা ড্রাইভিং ফোর্স লাগবে। খারাপের দিকে পরিবর্তন চাইলে শয়তানি ড্রাইভিং ফোর্স আর ভালোর দিকে পরিবর্তন চাইলে সৃষ্টিশীল ড্রাইভিং ফোর্স লাগবে। স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং ফোর্স সাপ্লাই করবে প্রধানশিক্ষক বা অধ্যক্ষ। কিন্তু বর্তমানে সেটির জন্য নাজিল হয়েছে গভর্নিং বডি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ড্রাইভিং ফোর্সটা সাপ্লাই করবে ভিসির নেতৃত্বে প্রশাসন। কিন্তু আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এটির জন্য নাজিল হয়েছে বোর্ড অফ ট্রাস্টি। আমাদের গভর্নিং বডি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা হলো more রাজনীতিবিদ than শিক্ষাবিদ।আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলো more মালিক than ফিলানথ্রপিস্ট শিক্ষাবিদ। ফলে এইগুলো দিনদিন অধপতনের দিকে যাচ্ছে।
এখন প্রতিষ্ঠানটি যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে ভিসির নেতৃত্বে প্রশাসনই ড্রাইভিং ফোর্স সাপ্লাই করবে।

প্রশাসনকে সর্বদা নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করতে হবে। তার জন্য একজন ভিসির দরকার পর্যাপ্ত অবসর সময়। সাধারণেরা যাকে অবসর সময় ভাববে আসলে ওই সময়টাতেই সৃষ্টিশীল মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি কতটা ত্বরান্বিত হবে তা নির্ভর করে শিক্ষকের মানের উপর। শিক্ষকের মান নির্ভর করে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন নীতিমালা এবং শিক্ষকদের কম্পিটিটিভ বেতন ভাতাদি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সব সময় সেরা শিক্ষকদের খুঁজে বেড়াবে আর পাওয়া মাত্রই দেনদরবার করে নিয়োগ দিতে চেষ্টা করবে।

উন্নত দেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিকারির মত সর্বদা ভালো শিক্ষক খুঁজে বেড়ান। দরদাম করে ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেন। সকলের বেতন ও সুযোগ সুবিধা এক না। আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি হচ্ছে জানেন? ভালো শিক্ষকরা চলে যাচ্ছে। প্রশাসনের তাতে কোন চিন্তা নেই। ভাবখানা এমন যেন who cares! As if, তুমি নিজেকে কি ভাব? আমরা তোমার যাওয়াকে থামিয়ে দিব? অর্থাৎ ভালোদেরতো hunt করে আনাতো কেউ কল্পনাও করে না কিন্তু যেকোন ভাবেই ভালো কেউ যখন এসে যায় তাকে রাখার কোন চেষ্টাও থাকেনা। ক্ষেত্র বিশেষে মনে হয় চলে গেলেই ভালো তাতে খারাপদের উম্মোচিত হওয়ার ভয় কমে যায়।

চলে যাচ্ছে কেন? এর উত্তর হলো থাকবে কেন? ভালোরা যদি অবহেলিত হয়, ভালোদের যদি মূল্যায়ন না হয়ে উল্টো অপমান আর অপদস্ত হতে হয় কেন থাকবে? এখানে কারো ১০০ গবেষণা প্রকাশনা থাকলে যা আর কারো ১৫টা প্রকাশনা থাকলেও তা। একটি নেচার বা সাইন্স জার্নালে প্রকাশনাও যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্বেজ জার্নালে প্রকাশনাও তা। তাহলে বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নত হওয়ার কি কোন কারণ আছে?। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়