শওগাত আলী সাগর : [১] উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আলাদাভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ স্থানীয় প্রশাসনের সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়। [২] কিন্তু ঘোষিত পদক্ষেপকে কেবলমাত্র লকডাউন, কঠোর লকডাউন- এ ধরনের শব্দমালায় সীমিত রাখলে চলবে না। ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবিচনায় রেখে সীমান্তের এই শহরে সংক্রমণরোধ এবং সংক্রমণ যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে পরতে না পারে সে জন্য প্রশাসনকে কঠোর হতেই হবে। মনে রাখতে হবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে কোনো ধরনের শৈথিল্য পুরো উত্তরবঙ্গকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে।
[৩] পুরো জেলাকে বাইরের জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণকেও আলাদা রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাইরাস কীভাবে বিস্তার লাভ করে এবং কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে ব্যাপারে স্থানীয় অধিবাসীদের আরো সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। রেডিও, টেলিভিশন ব্যবহার করেই হোক, স্থানীয় মুরুব্বিদের ব্যবহার করেই হোক, ইমাম সাহেবদের ব্যবহার করেই হোক - মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৪] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জেলার প্রতিটি জনপদে মানুষ যাতে মাস্ক না পরে বাইরে বেরুতে না পারা সেটি নিশ্চিত করা। সরকারি উদ্যোগে জেলার সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সরকারের বাইরে যেকোনো শিল্পগ্রুপ বা অন্য কোনো সংগঠন উদ্যোগী হয়ে মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। একইসঙ্গে মাস্ক কেন পরতে হবে, কীভাবে পরতে সে ব্যাপারে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। [৫] মনে রাখা দরকার সীমান্ত শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের জন্য ‘ডিলব্রেকার’ হয়ে উঠতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত কিন্তু এই আশঙ্কাকে সমর্থন করে। কাজেই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক