শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ০২:০০ রাত
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: এবারের বাজেটে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে জিডিপির ৫.৫ শতাংশ বরাদ্দ চাই

কামরুল হাসান মামুন : সামনে বাজেট। এই বাজেটে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিতে হবে। স্বাস্থ্যের সঙ্গে শিক্ষা নানাভাবে জড়িত। ডাক্তারদের লেখাপড়া করেই ডাক্তারিবিদ্যার শিক্ষক হতে হয়। আর সুস্থ দেহেই কেবল সুন্দর মন বাস করতে পারে যা লেখাপড়ার জন্য অত্যাবশ্যক। এ করোনা এসে আমাদের পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা কতোটা নাজুক। আমাদের দৈনিক ২৫০০ করোনা সনাক্ত আর তার থেকে ১১০ জন মারা গেলে দেশে মারাত্মক প্যানিক সৃষ্টি হয়। আইসিইউ বেড নেই, সাধারণ বেড পেতেও ভিআইপি আত্মীয়-পরিজন খুঁজতে হয়। মানুষ অশিক্ষিত বলে আমরা স্বাস্থ্য সচেতন না। করোনা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সরকারি নির্দেশনা মানি না। অশিক্ষিত বলে পরিবেশের প্রতি সচেতন না ইত্যাদি অসংখ্য সমস্যার গুরুত্ব অনুভব করতে পারি না।

আমাদের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এতো খারাপ যে ইউরোপের অনেক দেশের সবচেয়ে ভালো করোনা পরিস্থিতিও আমাদের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে খারাপ। আর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা আর কী বলবো। সেই খারাপ পরিস্থিতেও তাদের স্কুল কলেজ দেশব্যাপী বন্ধ রাখেনি। এখন তাদের ভালো অবস্থায় যখন আমাদের চেয়ে তিনগুন খারাপ তখন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া চালু রেখেছে। কারণ তারা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার গুরুত্ব অনুভব করে। ১ বছরেরও বেশি সময় লেখাপড়া থেকে দূরে থাকলে এর যে কি ভয়াবহ ইম্পেক্ট আমাদের নতুন প্রজন্মের ওপর পরবে তা তারা ভালো করে জানে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হলো লাস্ট থিংক যেটা তারা বন্ধ করার চিন্তা করে। আর আমরা সবার আগে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার চিন্তা করি।

ভবিষ্যতে যেন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখতে পারি তার জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্তার উন্নতির জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার। এই বিনিয়োগটা আমাদের নীতিনির্ধারকরা তখনই করবে যখন আমরা একটা নিয়ম করতে পারব যে এমপি, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তারা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারবে না আর লেখা পড়ার জন্য তাদের ছেলেমেয়েরা অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যন্ত বাংলাদেশেই পড়বে। এবারের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবশ্যই জিডিপির ৫.৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। এর যে অন্যথা না হয়। যাতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ ন্যূনতম দ্বিগুন করা যায়।

লেখক : অধ্যাপক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়