মাসুদ আলম: [২] দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা । শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত ইমামের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
[৩] রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসিন্দা আজহারের স্ত্রীর প্রতি কুনজর ছিল দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের। বিষয়টি জানার পর ১৯ মে রাতে ইমামকে নিষেধ করতে মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আজহারের গলায় আঘাত করেন ইমাম। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ইমাম মসজিদে তার শয়ন কক্ষে আজহারের মরদেহ ছয় টুকরা করেন। এরপর মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন ইমাম। ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে মঙ্গলবার সকালে আজহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইমাম আব্দুর রহমানকে (৫৪) গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করা হয়।
[৪] মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম বলেন, আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ইমামতি করে আসছিলেন। আজহারের ছেলে আরিয়ান মসজিদটির মক্তবে পড়াশোনা করত। আজহারও তার কাছে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করত। এই সুবাদে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কোরবানির সময় পশু জবাই করার জন্য আব্দুর রহমান দেশি অস্ত্র রাখতেন। সেই অস্ত্র দিয়েই তাকে হত্যা করা হয়।
[৫] তিনি আরও বলেন, আজহারের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইমাম। ঘটনার একদিন আগে আজহারের স্ত্রী আছমা তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যায়। তিনি ঘটনার আগের দিন থেকে টাঙ্গাইলেই ছিলেন কি-না এবং হত্যায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাকু ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহমান বলেন, আজহার তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং তার স্ত্রীর দিকে আব্দুর রহমান কু-দৃষ্টি দিয়েছে, এনিয়ে বাকবিতণ্ড হয়। এই কারণে রাগান্বিত হয়ে তাকে হত্যা করে।