রহিদুল খান: আত্মহত্যা নয় চৌগাছায় আহাদ আলীকে খুন করেছে স্ত্রী জেসমিন আর তার একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলী (৪৪) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহাদ আলী গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহাদ আলী আগে ট্রাক ড্রাইভার ছিল পরবর্তীতে কৃষি কাজ করতো।
নিহতের চাচা মন্টু জানান, আহাদ আলীর এক ছেলে এক মেয়ে। সে রাতে ছেলে মেয়েরা যে ঘরে থাকে তার পাশের ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। ভোরে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে। ছেলে মেয়েরা ডাক দিলেও কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং সারা শরীর রক্তাক্ত। বাবার লাশ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে পুলিকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে।
চৌগাছা থানার এসআই আতিক হাসান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ, এএসপি বেলাল হুসাইন ও যশোরের পিবি আই কমকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকান্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। এ সন্দেহ থেকেই পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার , একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়।
চৌগাছা থানার ওসি ( তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছেলে সোহান স্বীকার করে সেই তার বাবাকে হত্যা করেছে।
হত্যাকান্ডের বর্ণনায় সে জানায় বাঁশের লগায় মাথায় ছুরি বেঁধে ইট দিয়ে তৈরী করা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে সে তার পিতাকে খুঁচা দিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় ব্যাপক রক্তক্ষরণে আহাদ আলী মৃত্যুবরণ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহান এ কথা স্বীকার করলে তার স্বীকারোক্তিতে তাকে নিয়ে পুলিশ তার বাড়ি থেকে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ছুরি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাঁশের লগা উদ্ধার করেছে। রাতে এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বলছে পারিবারিক কলোহের জের ধরেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটনো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :