গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: মায়েরা কেমন হয়? সাহিত্যের মায়েরা যেমন, বাস্তবের মায়েরা তার চেয়ে বেশি মমতাময়ী। আমার বড় খালা যেমন ছিল। বড় খালা মারা যাবার পর রুবেলকে দেখলেই আমার খুব মন খারাপ হতো। মা ছাড়া মানুষ বাঁচে কেমনে! ১১ বছর হলো আম্মু নাই। মা ছাড়া বাঁচে তো মানুষ। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুরাও মা হারা হয়েছে। কামালের মা, খালাম্মার কেবল চিন্তা ছিল ছেলেরা খেল কিনা ঠিকমতো। খালাম্মা নেই, কামালরা বেঁচে আছে। বাবুর আম্মা দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে লড়েছে। ক্যান্সার জিতেছে। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও খালাম্মার চোখ বেয়ে নামতে দেখেছি জলের ধারা।
এই এক বছরের ভেতর মারা গেছে খোরশেদের মা। খালাম্মার সঙ্গে দেখা করতে গেলেই আম্মুর কথাই বলত বেশি। কিছুদিন আগে গেলো আবছারের মা। অসম্ভব স্নেহ করত আমার মাকে। আমরা ডর মা বলতাম। কোভিডে মারা গেলো মুনার আম্মা। তার আগে মাসুদের মা। কবীরের মাও বছর তিনেক হল মারা গেছে। তুলনাহীন মমতা ধারণ করতো আমাদের মায়েরা। বাঙালি মাতৃত্বের যে সামাজিক রূপ তার অনন্যতায় সিক্ত ছিল আমাদের জীবন। মমতার ছায়া সরে গেছে। বৃক্ষহীন জীবন আমাদের। পৃথিবীর সব মায়ের জন্য ভালবাসা। ফেসবুক থেকে