স্বকৃত নোমান: এক পত্রিকার শিরোনাম : ‘পোশাকের মতো প্রেমিক বদলাতেন মুনিয়া।’ যে সাংবাদিক রিপোর্টটি করেছেন, কিংবা যিনি শিরোনামটি দিয়েছেন, খোঁজ নিলে দেখা যাবে ব্যক্তিগতজীবনে তিনি বহুগামী। ঘন ঘন প্রেমিকা বদলান। হাজী বিরিয়ানি খেতে ভালো লাগে না, তাই নান্না খান। নান্না ভালো লাগে না, তাই স্টার খান। এভাবে রুচি বদলাতেই থাকেন। কিন্তু কোনো মেয়ে যখন রুচি বদলায়, তখন তার মাথার তালু গরম হয়ে যায়। কারণ ওই তালুতে বসত করে কদাকার পুরুষতন্ত্র। একটু কঠিন শোনালেও, সমাজ-প্রগতির স্বার্থে এই ধরনের সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল করে দেওয়া উচিত। সমাজের একটি অগ্রসর শ্রেণি বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার আছেন বলেই আপাতত কিছু দিনের জন্য তিনি বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। নইলে বহাল তবিয়তে দেশেই থাকতেন। কেউ কিচ্ছু করতে পারত না তার।
কারণ দু-একটি বাদে মোটামুটি সবকিছুই তার কেনা। ধর্ম তো বহু আগেই তার বাবা কিনে রেখেছেন। এ দেশে ওয়াহাবিবাদের বিস্তারে যে কয়টি পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে বসুন্ধরা একটি। বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার কোথায় অবস্থিত? সেখানে কী হয়? কোথা থেকে টাকা আসে? পরিস্থিতি একটু শান্ত হোক, সায়েম সোবহান আনভীর ফিরবেন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে? খুবই হাসির কথা। মহামতি লেনিন বলেন, ‘রাষ্ট্রে সার্বজনীন সমতার বিষয়টি একটা পুরনো কুসংস্কার এবং শুধুই ভাঁওতা।’ লেখক : কথাসাহিত্যিক