মাসুদ আলম: [২] রোববার রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার স্কুলছাত্রী মোসলেমা খাতুন হত্যা মামলায় প্রেমিক নাহিদ হাসানকে আদালতে তুলেন তদন্ত কর্মকর্তা। নাহিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শনিবার গভীর রাতে তাকে মিঠাপুকুর থানার দলসিংহপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[৩] মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ভাংনি ইউনিয়নের বাউরাকোট গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মোসলেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মোসলেমা ওই গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। সে খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলো এবং স্থানীয় এক হাই স্কুল থেকে এই বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। বৃহস্পতিবার বিকেলে মোসলেমা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
[৪] তিনি আরও বলেন, নাহিদ জানায় মোসলেমা তার চাচাতো বোন হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ১ বছরের। ভিকটিমের সঙ্গে তার একাধিকবার দৈহিক মিলন হয়। সর্বশেষ তার ডিসেম্বর মাসে শারীরিক সর্ম্পক হয়। এরপর নাহিদ দিনাজপুরে চাকুরীতে চলে যায়। ভিকটিম নাহিদকে ঘটনার ১৫ দিন আগে জানায় সে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু নাহিদ তা অস্বীকার করে। এতে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভিকটিম নাহিদকে ফোন দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু নাহিদ আসতে চায় না। ভিকটিম বার বার জিদ করলে সে দেখা করতে আসে। তারা ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে দেখা করে এবং মোসলেমা তার বাচ্চা রাখতে চায় এবং এর জন্য ব্যবস্থা করতে বলে কিন্তু নাহিদ তা মানতে নারাজ। সে যেকোন ভাবে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। এর এক পর্যায়ে নাহিদ রেগে গিয়ে তাকে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে মেরে ফেলে।