রাজু চৌধুরী : [২] রাতের আঁধারে দশ দিনে এক হাজার জনকে ঘরে ঘরে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট ।
[৩] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আমরা দিনের বেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন অস্বচ্ছল, অসহায়,হিজড়া, দিনমজুর, প্রতিবন্ধী, বেদে, দুঃস্থ শিল্পী ও অন্যান্যদের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণের আওতায় এনেছি।
[৪] যারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সরাসরি ত্রাণের জন্যে আসেনা নিজেরা যোগাযোগ করেই প্রদেয় নাম ঠিকানায় রাতের বেলায় ত্রাণ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ঘরে ঘরে যাচ্ছে। গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ একদিনও না খেয়ে থাকবেনা। আমাদের কাছে যথেষ্ট ত্রাণসামগ্রী আছে। আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
[৬] ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে অস্বচ্ছল, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের মধ্যে সন্ধা থেকে শুরু করে রাত অবধি পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি
[৭] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিদিন ইফতার পরবর্তী রাত অবধি মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছি মানুষের ঘরে ঘরে।
[৮] অনেকেই আছে যারা ত্রাণ নিতে লজ্জাবোধ করেন বা ভাড়ার টাকা না থাকায় ও দূরের রাস্তা হওয়ায় এসএমএস বা ফোন কলের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়।
[৯] ফলে এসএমএস ও ফোন কলের মাধ্যমে দেয়া তাদের ঠিকানা বের করে পৌছে দিয়েছি ত্রাণ সামগ্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সম্বলিত প্যাকেট হাতে দেয়ার পর তাদের হাসি মাখা মুখ দেখলে কষ্ট দূর হয়ে যায়। অন্তত কিছুটা তো করার সুযোগ পেয়েছি।
[১০] তিনি আরও বলেন, রাতের বেলায় দেখা যায় অনেক অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষ রাস্তায় বসে আছে বা ঘুরছে খাবার পাওয়ার আশায়। তখনই তাদের হাতে এক সপ্তাহের খাবার যাতে আছে চাল,ডাল, তেল,ছোলা, চিনি,চিড়া,আলু,চা পাতা সম্বলিত ব্যাগ দেয়া মাত্র খুশিতে কাদতে দেখেছি। দেখেছি অসহায় মানুষের মুখের চওড়া হাসি। তাই ইফতারের পরেই সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত দেহ নিয়েও রাত অবধি ত্রাণ নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে কষ্ট লাগেনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ