রাহুল রাজ: [২] মুমিনুল পাল্লেকেলেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিদেশের মাটিতে শতকের পতাকা উড়িয়েছেন।
[৩] দাপুটে ব্যাটিংয়ে দ্বীপরাষ্ট্রে আরেকটি প্রশান্তির দিন কাটল বাংলাদেশের। বৃষ্টি, আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলার ২৫ ওভার খেলা হয়নি। বাকিটা সময় স্বাগতিকদের নির্বিষ বোলিংয়ে বাংলাদেশ রান তুলল অনায়েস। আগের দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন শান্ত। মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে। দুজনের সতর্ক ব্যাটিং আশা দেখায় বড় কিছুর। দ্যুতি ছড়িয়ে তারা এগিয়ে যান। ধারাবাহিক ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেননি। প্রথম সেশনে শান্ত দেড়শ রান পেরিয়ে যান। মুমিনুল পেয়ে যান আরেকটি ম্যাজিকাল থ্রি ফিগার।
[৪] মমিনুল পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৭ থেকে পৌঁছলেন সেঞ্চুরিতে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত করে উইকেট ভাঙেন লাহিরু কুমারা। বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন শান্ত।
[৫] শান্তর প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি থেমে যায় ১৬৩ রানে। ১৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। আর ১৯ রান করলে দেশের হয়ে অভিষেক সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারতেন তিনি।
[৬] শান্তর বিদায়ে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে তাদের করা ২৪২ রানের জুটি। যা দেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান। ধনাঞ্জয়ার বল কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দেন ১২৭ রানে। ৩০৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে সাজান ইনিংসটি। থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন। ৯১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। মুশফিক ৪৩ ও লিটন ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
[৭] বৃষ্টির কারণে শেষমেশ দিনের খেলা শেষ হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।
আপনার মতামত লিখুন :