আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম সপ্তাহ ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলেও দিত্বীয় সপ্তাহের দিত্বীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার কঠোরভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছে খুব কম মানুষে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহনের চাপও ছিলো একবারেই কম। ফলে, অধিকাংশ সড়কই ছিলো জনশুন্য। প্রতিদিন পর্যটকদের ভীড়ে কানায় কানায় পরিপুর্ন চাপাইল সেতুও ছিলো একেবারেই জনশুন্য।
[৩] গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার দিকনির্দেশনায় বৃহস্পতিবার অনেকটা ভোর থেকেই ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারকবৃন্দদের আলাদা আলাদা ভাবে বেশ কয়েকটি গাড়ী নিয়ে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
[৪] শহরের ঘোনাপাড়া মোড়, এলজিইডি অফিস মোড়, হাসপাতালের সামনে, পাচুড়িয়া, পুরাতন লঞ্চঘাট, চাপাইল সেতুর দু-পাড়ে, মান্দারতলা মোড়, বেদগ্রামের মোড়, কুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড, পুলিশ লাইন মোড়, চৌরঙ্গীর মোড়, বটতলা ও রঘুনাথপুর মোড়সহ গোটা শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পুলিশ এ সব এলাকার প্রতিটি সড়কে নানান পদ্বতীতে ব্যরিকেড দিয়ে সব ধরনের ইঞ্জিন চালিত যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
[৫] অপরদিকে, কাঁচাবাজার, কাপড়পট্রিসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে মানুষের আনাগোনা ছিলো ছোখে পড়ারমতো। এরমধ্যে অধিকাংশ লোকজনকে মাক্স ব্যবহার করতে দেখা গেলেও সামাজিক দুরুত্বর কোন বালাই দেখা যায়নি।
[৬] তবে, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার দিকনির্দেশনা ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে আন্তরিক হয়ে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে সকাল থেকেই বিরামহীনভাবে নজীরবিহিন ডিউটি পালন করতে দেখা গেছে।
[৭] বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে, ভোর থেকেই গোপালগঞ্জের সব ধরনের পেশাজীবি মানুষেরা সরকার ঘোষিত নির্দেশনা মেনেই স্ব স্ব পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে। জরুরী কোন কাজ ছাড়া তেমন কাউকেই রাস্তায় বা হাটবাজারে দেখা যায়নি। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা নিতে হাসপাতালমুখি ও খাদ্যসহ নানান ধরনের পন্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য কিছু কিছু মানুষ ঘর থেকে বের হলেও কাজ শেষে তারা ঘরে ফিরে গেছে।
[৮] অপরদিকে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গুলোতেও অনুরুপভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী প্রতিনিধিগন।
আপনার মতামত লিখুন :