মোঃ সোহাগ হোসেন: [২] পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ায়র ভয়াবহ বিস্তারে স্কুল শীক্ষার্থীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় আক্রান্ত ৮৩ জন।
[৩] জানা যায়, শনিবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গত চার দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সমাদ্দার কাঠী গ্রামের রাকিব খন্দকারের মেয়ে সাহারা সানফুল (১৫), উত্তর মাধবখালী গ্রামের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে মন্নাফ হাওলাদার (৫০), মাধবখালী গ্রামের মৃত্যু বন্দে আলী সিকদারের ছেলে মো. নুর মোহম্মদ সিকদার (৮০), উত্তর মাধবখালী গ্রামের দেনছে আলী সিকদারের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫), মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ফরমান সিকদারের ছেলে আলিম উদ্দিন সিকদার (৭৫), গণি হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০), মৃত করিম নেগাবানের মেয়ে ফরিদা বেগম (৫০), ভাজনা কদমতলা গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে সোবাহান হাওলাদার (৫৫), পিপড়াখালী গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী কদবানু বেগম (৭০),মির্জাগঞ্জ গ্রামের এলেম গোলদারের ছেলে আলম গোলদার(৪৩), ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র মালীর ছেলে বীরেন মালী (৫৫),আমড়াগাছীয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা গ্রামের মোঃ সিরাজ হাওলাদারের ছেলে মোঃ সুলতান(৫৫) মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত একরাম সিকদারের ছেলে আলেক সিকদার (৫০) জনের।
[৪] মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৪২ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮ জন। ভর্তি আছেন ২৬৫ জন। গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই ৯০-১০০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
[৫] মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, মৃত ব্যক্তিরা কেউই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন না। যারা চিকিৎসধীন আছেন তাদের সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্যালাইন সংকট পূরণে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে স্যালাইন সরবারহের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সম্পাদনা: হ্যাপি