রোজিনা ইসলাম: প্রথমে আমার সালাম নেবেন। নিশ্চয়ই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে আপনাদের মন খারাপ হয়েছে, হওয়াই উচিত। পর সমাচার এই যে, আমি জানি না আপনারা তিনজনই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন কিনা, কিন্তু এটা সহজেই অনুমেয় যে আপনারা তিনজনেই আপনাদের অবস্থানের পাওয়ার দেখিয়েছেন। আর ব্যবহার করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বাবার সনদকে। গত এক দশক ধরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে কাজ করি। কিন্তু তাদের ঝগড়ার জন্য রাস্তাঘাটে বাবার সনদ বিক্রি করতে দেখিনি। যাইহোক, যেটা বলতে চেয়েছিলাম আপনারা সকলেই জনগণের করের টাকায় বেতন পান। তাই জনগণের সেবা করাটাই আপনাদের মূল কাজ।
আর তা সম্ভব হবে সবাই মিলে মিশে লকডাউনটা বাস্তবায়ন করতে পারলে। মনে আছে আগেরবার কী হয়েছিলো? প্রশাসনের এক অফিসার এক মুরুব্বিকে কান ধরানোর মতো অপরাধ করে সব ভেস্তে দিয়েছিলেন। এবার যেন আপনাদের এসব কাইজ্জ্যার জন্য লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া না হয় তা খেয়াল রাখবেন। আরেকটা কথা, আপনাদের চিফ বস কিন্তু সব দেখেন। অতএব পরেরবার একটু বিনয়ী হবেন। তিনজনই ভালো থাকবেন। ঈষৎ সংক্ষেপিত। ফেসবুক থেকে