আবুল কাশেম : [২] সিলেটে হঠাৎ করে লকডাউনে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়। ১৮ এপ্রিল রোববার দুপুর ১২ টা সিলেটে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের ব্যাপক অ্যাকশন নিতে দেখা যায়। মানুষের সমাগম ও অটোরিক্সা, মোটর সাইকেলট জটলা দেখলে পুলিশ গাড়ির রেকার ও মামলা, জরিমানাও করা হয়েছে।
[৩] এরপরও জরুরি প্রয়োজনের বাইরেও বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ রাস্তাায় চলাচলের চেষ্টা করেছেন অনেকে। দ্বিতীয় দফায় কড়াকড়ি লকডাউনের ৫ম দিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
[৪] রোববার দুপুরের দিকে দেখা যায়, সুবিদবাজার পয়েন্টে দু’জন পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে টুকেরবাজার থেকে সিএনজি অটোরিক্সা এলে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছেন। এর মধ্যে অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন এবং মাঝে মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন।
[৫] এছাড়া, সিলেট নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, সোবহানীঘাট, মেডিক্যাল রোড, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
[৬] করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়, এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউন সিলেটে কঠোর ভাবে পালন হচ্ছে।
[৭] লকডাউনের চতুর্থ দিন হিসেবে গতকালও নগরীর বিভিন্ন সড়ক অনেকটা ফাঁকাই ছিলো। তবে, রোববার অন্য দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া, সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি।
[৮] অপরদিকে, বন্ধ ছিল দোকানপাট ও শপিংমল গুলো। মাঝে মধ্যে দু’একটি রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। কিন্তু সিএনজি ও অটোরিক্সা খুব বেশি চোখে পড়েনি। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
[৯] পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে আম্বরখানা, চৌহাট্টা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, কদমতলিসহ সকল মোড়ে। আর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে টহল। কোথাও সড়কেই আচমকা থামানো হচ্ছে গাড়ি। জিজ্ঞেস করা হচ্ছে বের হওয়ার কারণ।
[১০] জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া বেশির ভাগ লোকজন রিক্সা করে যাতায়াত করছেন। তবে মাঝে মধ্যে দু-একটি ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
[১১] অপ্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনকে ঘরে ফেরাতে রাস্তায় রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল শনিবার সিলেট কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ছিলো সুনসান নীরব।
[১২] সিলেট থেকে কোনো বাস, রেল এবং বিমান ছেড়ে যায়নি। তাই, যাত্রীদের আনাগোনা ছিল না এসব স্থানে। শনিবারের তুলনায় রোববার সকাল থেকে মানুষ গাড়ির ঘোড়ার কিছুটা চাপ বেড়তি ছিল।
[১৩] সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।
[১৪] জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :