অমি রহমান পিয়াল: বাঙালি মুসলমান হিসেবে আমি আমার এবং আমাগো লগে মাইকেল জ্যাকসনের মিল পাই। আমি যা হইয়া জন্মাইছি সেইটা উপেক্ষা কইরা যা হইতে পারুম না সেই চেষ্টায় জীবননাশ। জ্যাকসন টেকাটুকা হওয়ার পর চামড়া বদলায়া সাদা হওয়ার চেষ্টা করছিলো। অক্সিজেন চেম্বারে শুইয়া, নাকের প্লাস্টিক সার্জারি কইরা যা-তা অবস্থা। সেই নাকেও পচন ধরলো, চামড়ার জেল্লাও গেলো, বালক নিগ্রহের অপবাদ নিয়া মাইকেল পৃথিবী ছাড়লো। আমি কিংবা আমরা বাঙালি হইয়া জন্মাইছি। ধর্মে মুসলমান। কিন্তু আমাগো এতো অল্পতে পোষায় না। সেহরিরে সুহার, রমজানরে রামাদান বানায়া আমরা চোস্ত আরাবিক হওয়ার চেষ্টায় আছি জোব্বা পইরা আর মাথায় চাড্ডি লাগায়া। আবার আরব দেশে আমাগোরে কয় মিসকিন। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই কথাটা তারা এটলিস্ট আমাগো বেলায় মানে না, পাকিরাও না। তারপরও আমরা চেষ্টা চালাই। বিদ্রোহ একেবারে করি না তা না।
যখন ব্যবসার পেটে লাথি পড়ে তখন আমরাও হুঙ্কার ছাড়ি বৈকি। যেমন মহামারীতে মক্কা মদিনার মসজিদ বন্ধ রাখার ফতোয়া আমরা মানি নেই। হু ইজ সৌদি আরব বইলা হুঙ্কার দিছি। যেন ইসলাম এই বঙ্গে নাজিল হইছে, যেই নাজিলের ১৪০০ বছর পর আমরা নমশুদ্র থিকা মুসলমান হইছি কয়েকপুরুষ আগে। এখন আমরা বাশের থিকা কঞ্চি বড় হইয়া মুসলমানগিরি করি। আমাগো লাইগা সব সহী। ফোনজিনা, রিসোর্টজিনা সবই শরীয়তসম্মত। এত্তো আলেম দুইন্যার আর কোথায় আছে। মইরা যাওয়ায় মাইকেল জানতে পারেনি তার সুন্নতে খতনাও করছিলাম আমরা বঙ্গীয় মুসলমানরা। মিকাইল জাকির হোসেনের নামাজে জানাজা অবশ্য হয়নি। তবে বালকদের প্রতি ভালোবাসার মিলে তারে আমরা আপনালোগই ভাবি এখন। মুনাফিক চিনে নিন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ। ফেসবুক থেকে