শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চলাচলের এখন একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ী

সোহাগ হাসান:[২] সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে এখনও ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা আর শুকনো মৌসুমে চরাঞ্চলের মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। পানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে যমুনা এখন মরুভুমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

[৩] এতে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, উল্লাপাড়া, ও সদর উপজেলার চরবাসীর যাতায়াত ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ঘোড়ার গাড়িযোগে বহন করতে হচ্ছে। প্রবাহমান যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হ্রাস পাওয়ায় জেগে উঠেছে অসংখ্য চর।এতে নৌ-যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই বিকল্প হিসেবে হেঁটেই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাছেন।

[৪] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর। এতে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগের বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। শুকনো মৌসুমে চরবাসী তার লালিত স্বপ্নের ফসল চাষ করে থাকে। চরাঞ্চলে সাধারণত বাদাম, ভুট্টা, মসুর ডাল, বোরো ধান, মিষ্টি আলু চাষ হয়ে থাকে। এ কারণে চরাঞ্চলে যোগাযোগ খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

[৫] দু’চোখ যত দূর যায় ধু-ধু বালুর চর। এতে চরাঞ্চলের মানুষের মালামালের বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরাঞ্চলের চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলে বাড়ি ও উপজেলা সদরে বিক্রি করার জন্য নদীর ঘাটে নিয়ে আসার একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি।

[৬] রাস্তাঘাট না থাকায় চলাঞ্চলের অধিকাংশ ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটে বেড়াচ্ছে এ চর থেকে ওই চরে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গার চরের বাবলু মিয়া (৪০) নামের এক ঘোড়ার গাড়ি চালক বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কাম না করলে খাবো কি। এক বেলা কাম করলে আরেক বেলা কাম করতে পারি না।

[৭] সংসার চালানোর জন্য জীবনের ঝুকি নিয়েই ঘোড়ার গাড়ি চালাই। দৈনিক ৮০০-৯০০০ টাকা আয় করেন তিনি। ঘোড়ার খাবারের জন্য তাকে প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় ২০০-২৫০ টাকা। বাকি টাকায় চলে সংসার। তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগেও এই চরাঞ্চলে ১০-১২টা ঘোড়ার গাড়ি ছিল। আর এখন এই ইউনিয়নে ২৫-৩০টা ঘোড়াগাড়ি হয়েছে। দিন দিন ঘোড়াগাড়ির চাহিদা বাড়ছে।কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া চরের বকুল শেখ বলেন, শুকনো মৌসুমে চরাঞ্চলের মানুষের ও প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি।

[৮] আমরা প্রায় এক যুগ ধরে এই চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি চালাই। তবে ঘোড়ার পেছনে যে টাকা খরচ হয় অনেক সময় তা উঠাতেও পারি না। প্রতিদিন ঘোড়ার খাওয়ার পেছনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ হয়। এখন আর কিছু করতে না পারায় বর্তমানে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েই সংসার চালিয়ে যাচ্ছি।

[৯] সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া বলেন, যমুনায় চর জেগে ওঠায় নৌ চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। এ কারণে চরাঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ও পণ্য পরিবহনে ঘোড়াগাড়ি ব্যবহার বেড়ে গেছে। অনেকেই কৃষি ও মৎস্য শিকারের পেশা ছেড়ে ঘোড়াঘাড়ি ও মোটরসাইকেল কিনে ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়