ডেস্ক নিউজ: সোমবার সকালে সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই মাঝে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হককের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন।
কমেন্টে তারা শরীফুল ইসলামকে নরেন্দ্র মোদীর সন্তান বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ২৫ আহত হন। এদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহত আরো ৪ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক জানান, ‘আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।’
অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি, তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দিয়ে আজিজুল হকের লোকজন তার লোকদের বাড়ি ঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০/১৪ আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: বিডি জার্নাল