ফজলুল হক: [২] গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক পৌর কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপহৃত হলো, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সগুনা এলাকার শাহ আলম সরকারের মেয়ে সোনালী খাতুন (১২)।
[৩] অপহৃতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর এলাকায় সুলতান মাষ্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন সুলতানা খাতুন ও তার স্বামী জাহিদ হাসান। মাসখানেক আগে কিশোরী সোনালী তার বোন সুলতানা খাতুনের বাসায় বেড়াতে আসে। এরই মধ্যে স্থানীয় মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাকিল হোসেন ওই কিশোরীকে রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল।
[৪] বিষয়টি সে তার বড় বোন সুলতানাকে জানালে তিনি এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের জানায়। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম ও তার সহযোগী হাফিজুর রহমান, শ্রীবাসের মাধ্যমে ওই কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা দিকে ওই কিশোরী তার বোনের বাসার পাশে হাটা-হাটি করছিল। এসময় ওই কাউন্সিল, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাত-নামা আরো ২-৩ জন লোক তার মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক একটি সিএনজিতে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
[৫] অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অপহৃতের বড় বোন সুলতানা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
[৬] অপহৃত কিশোরীর বড় বোন সুলতানা খাতুন জানান, উক্ত আসামীরা আমার ছোট বোন সোনালীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহরণের পর তারা আমার বোনকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে বোনকে না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমার ছোট বোনকে সুস্থ্যভাবে ফিরে পেতে চাই।
[৭] অভিযুক্ত কাউন্সিলর আবুল কাশেম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে রাত ১টার দিকে থানা থেকেও আমাকে ফোন দিয়েছিল। তবে শুনেছি, শাকিল আর ওই মেয়ে ভালবাসা করে চলে গেছে।
[৮] কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী