সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার পল্টনের মুক্তিভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাম জোটের নেতারা। তারা বলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোট মোদির আগমনের বিরোধিতা করেছে, কারণ মোদি ব্যক্তিগতভাবে সাম্প্রদায়িক এবং একটি সাম্প্রদায়িক দলের নেতা। ধর্মীয় মৌলবাদী হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমনের বিরোধিতা করেছে সম্পূর্ণ মুসলিম সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে। বামপন্থীদের মোদির বিরোধিতা আর হেফাজতসহ অন্যান্য মৌলবাদীদের মোদির বিরোধিতা কোনোমতেই এক হতে পারে না।
[৩] তারা বলেন, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি ওই দিনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এবং উস্কানিদাতাদের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। এছাড়া সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সব বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
[৪] তারা আরও বলেন, গত ২৬ ও ২৮ মার্চের মর্মান্তিক ও বর্বর ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা ৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায়। ঘটনাস্থলে যে ভয়াবহতা ও বিভাজ্যতা তারা প্রত্যক্ষ করেছি, তা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গেই কেবল তুলনা করা যেতে পারে। হেফাজতের তাণ্ডবের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ এবং জামাত শিবিরের কিছু কিছু লোক অংশ নিয়েছে। এ কথা জোটের নেতাদের স্থানীয় জনগণ জানিয়েছে।
[৫] এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন ও ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।