বিপ্লব বিশ্বাস: [২] সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক ও ওই নরীর (মামুনুলের দাবীনুযায়ী তার স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না) অবস্থান এবং পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনার তদন্ত মাঠে নেমেছে পুলিশ ও র্যাব। [৩]এ জন্য রিসোর্টে মাওলানা মামুনুলের অবস্থানের ভিডিও এবং হেফাজত কর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেছেন, ঘটনার প্রকৃত চিত্র তারা তুলে আনবেন। একই সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে দায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে
[৪] তারা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সম্ভাব্য সবগুলো দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া নানা কথোপকথনও প্রকৃতপক্ষে মাওলানা মামুনুল হকের কি না তাও যাচাই করা হচ্ছে
[৫] নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলছেন, পুলিশের ওপর হামলা, আইন প্রয়োগে বাধাদান, রাস্তায় আগুন, স্থাপনা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। তান্ডবের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
[৬] তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরো বলছে, রয়েল রিসোর্টে অবস্থানের সময় মাওলানা মামুনুলের সঙ্গে থাকা নারী প্রকৃতপক্ষেই তার স্ত্রী কি না এখনো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে কাজ করছে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার একাধিক টিম।
[৭] রিসোর্টের রেজিস্ট্রেশন ফরমে মাওলানা মামুনুল হক স্ত্রীর নাম আমিনা তৈয়ব উল্লেখ করা হলেও তার প্রকৃত নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমান। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার কামার গ্রামে। তবে গ্রামবাসীদের কেউই ঝর্ণার দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে অবহিত নন।
[৮] সূত্র আরও বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি কথোপকথন বিশ্লেষণ করে প্রাথমিক ভাবে একটি সংস্থা নিশ্চিত হয়েছেন। ওই নারী তার স্ত্রী নন।