নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
লঞ্চডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক মো রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদসস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দূর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সহ অন্যান্য শীর্ষ কমকর্তারা।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম রাবিতা আল হাসান।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে লঞ্চটি। প্রতিদিনের মতো নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ টার্মিনালে যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়।
মুক্তারপুর নৌ স্টেশনের ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের পৌঁছানোর উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েও কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হওয়ায় যেতে পারছি না। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া কিছু যাত্রীকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন। এদিকে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট ও এর আশপাশে ভিড় করেছে। উত্তাল নদী আর ঝড়ের কারণে এখনও এখান থেকে ঘটনাস্থলে কেউ যেতে পারেনি।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৩ সালে লঞ্চটিকে কাঠের বডি থেকে স্টিলের বডিতে রূপান্তর করা হয়। মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে চলাচলকারী ২৫টি লঞ্চের মধ্যে ২৩টি বেহাল দশা।