শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৫ সকাল
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরিফুল হাসান: সবার সম্মিলিত সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন

শরিফুল হাসান: মৃত্যু ৫৯। রেকর্ড শনাক্ত ৬৪৬৯। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। কী বলবো ভাষা খুঁজে পাই না! আমরা বোধহয় ধরেই নিয়েছিলাম খুব খারাপ কিছু হবে না। কারণ করোনার চেয়েও শক্তিশালী আমরা। রোজ তাই নতুন নতুন ভুল করেছি। নানা গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখতে গিয়ে বইমেলা, কখনো পর্যটনকেন্দ্র, সিনেমা হল সব খোলা রেখেছি। এক লাখেরও বেশি ছেলেমেয়ে নিয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেলো। কারণ ছাত্র না পেলে তো বাণিজ্য হবে না! এভাবে নানাজনের নানা স্বার্থ দেখতে গেলে রোজ রোজ রেকর্ড তো হবেই। একবার অন্তত ভাবুন! গত ১৭ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা সুপারিশ করে। তাতে সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করার সুপারিশ করে তারা। জেনেশুনে এভাবে ঝুঁকি নেওয়ার মানে কি? অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও রোগী রাখা হবে। আমি জানি না এক ইঞ্চি জায়গাও খালি পাবেন কিনা। আর খালি পেলেও প্রতি ইঞ্চিতে রোগী রেখে কী চিকিৎসা হবে ওপরওয়ালা জানে। আচ্ছা, গত একটা বছর কী প্রস্তুতি নিলাম আমরা? এখনো জেলাগুলোতে আইসিইউ নেই কেন? এক বছরেও প্রত্যাশিত সংখ্যায় আইসিইউ হলো না কেন? কাকে বলবো এসব?

আচ্ছা, এই একটা বছরেও কী আমরা সমন্বিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি? নাকি ইচ্ছমতো সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অফিস-আদালত সব খোলা। গাড়িতে অর্ধেক সিট। ভাড়া তো বাড়াতে হবে। খুশি রাখতে হবে বাস কিংবা লঞ্চ মালিকদের। এভাবেই নানা গোষ্ঠীকে খুশি রাখতে নানা সিদ্ধান্ত। শুধু জনস্বাস্থ্যবিদদের কথা শোনার দরকার নেই। এককথায় নির্দেশনা দিয়ে দিলেই হলো, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব করতে হবে। আর অন্যদের কী দোষ দেবো? জাতি হিসেবে আমরা নিজেরাই তো অসচেতন। এই যে রোজ রোজ রেকর্ড হচ্ছে আপনি রাস্তায় নামেন দেখবেন মাস্ক নেই বেশিরভাগ মানুষের। নেই কোনো সতর্কতা, দূরত্ব। জানি বলে লাভ নেই, তাও বলি, চলুন সতর্ক হই। সচেতন হই। এই যে দ্বিতীয় ওয়েভ চলছে তার থেকে তরুণ-বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। আমার ফেসবুকে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ আছেন।

প্রত্যেকের কাছে হাতজোড়ে অনুরোধ করছি-জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। বের হলেই চলুন মাস্ক পরি। যেখানেই যাই দূরত্ব বজায় রাখি। পারলে কোভিডের টিকা নিয়ে নেই। তবে টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা একবিন্দুও কমেনি। আমি লকডাউন নয়, ব্যক্তি সচেতনতার পক্ষে। তাই আবারও বলছি- চলুন নিজেরা সতর্ক হই। মাস্ক পরি, দূরত্ব বজায় রাখি। আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সতর্ক করি। সবার সম্মিলিত সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। ভালো থাকুক এই বাংলাদেশ। ভালো থাকুক গোটা পৃথিবী। ভালো থাকুক প্রতিটি মানুষ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়