রেজা আলী পাটোয়ারী: গান্ধীজির অহিংসনীতি বুমেরাং হয়েছিলো। কারণ প্রশাসনের চেয়ে আন্দোলনকারীর পেশিশক্তি বেশি ছিলো। একাত্তরের মার্চে যারা আমাদের অহিংস আন্দোলন কাভার করছিলেন তারা মন্তব্য করছিলেন খোদ গান্ধীজি জীবিত থাকলে তার কনসেপ্টের এমন প্রয়োগ দেখলে বিমোহিত হতেন। বঙ্গবন্ধুর কারিশমা। আবার ২৫ তারিখের পর আমরা নেতাজির আর্দশ ধারণ করছি। কিন্তু যারা বলে বাংলা হবে তালেবান তারাতো কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না ওই বিপ্লবীদের মতোই। তাদের নিস্তার করার তরিকা কী? লীগ ভালো জানে এবং বিশ্বের দরবারে প্রসংশাও কুঁড়িয়েছিলো জঙ্গিদের ‘স্যুট এট্ ফার্স্ট সাইট’ করে। শুরুতে দেশি-বিদেশি কথিত মানবাধিকারওয়ালাদের কুৎসা হজম করতে হলেও পরবর্তী সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই তরিকা গ্রহণ করে ফল পাওয়া গেছিলো। তবে এই ‘দেখি না কী হয়’ নীতি কেন? কেউ কি জানেন? থাকতে কাঁচি হারালে দা। সৈয়দ আশরাফকে আমরা জীবদ্দশায় মূল্যায়ন করিনি।
এখন মায়াকান্না জুইড়া বসি। আদতে হেফাজতকে শাপলা থেকে সরানোর কঠোরতার কারণেই তিনি নিজ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। যাত্রার শুরুটা তখন থেকেই। পথের শেষ কোথায়? তারপরেই না হবে উল্টোরথ-যাত্রা। এই জনমে হওয়ার নয়। বঙ্গবন্ধু গুটি কয়েক লোকবল নিয়ে শ্রোতের বিপরীতে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান তুলেছিলেন তখন অধিকাংশ এক সময়ে ‘লড়কে লেঙ্গে’ করা আম-জনতা দিবা-দুঃস্বপ্নেও তা ভাবেনি। এমনকি বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ খোকা রায়, মনি সিংহরাও নন। যদি কোনোদিন সন্তান-সন্ততীরা দেখে যেতে পারেন ৭২’র সংবিধানের বাস্তবায়ন সেটাই আপাত মনোবাসনা-সান্ত্বনা। ফেসবুক থেকে