শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২১, ০৪:৪৯ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২১, ০৪:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: কবে আর বাংলাদেশের রাজনীতি আধুনিক হবে?

আহসান হাবিব: কবে আর বাংলাদেশের রাজনীতি আধুনিক হবে? কবে তাদের শরীর থেকে ধর্মের পোশাক খসে পড়বে? কবে তাদের চিন্তা থেকে সাম্প্রদায়িকতার বোধ বিযুক্ত হবে? আর কবে তারা পেছনে নয় সামনে হাঁটবে? সেই যে দ্বিজাতিতত্ত্বের আলখাল্লা তারা গায়ে চাপালো, আর খুললো না! একবার, কেবল একবার কিছু সময়ের জন্য তারা গা থেকে খুলে পাশে রেখেছিল, তারপর আবার তারা আগের চেয়ে জোরেশোরে চাপিয়ে ফেলেছে। তাদের শরীর থেকে সব সময় সাম্প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।

তারা যখন কথা বলে তখন তাদের রাজনীতিবিদ নয়, মনে হয় এক একজন পাক্কা ধর্মগুরু! তারা জনগণকে ধর্মের বড়ি খাইয়ে বুঁদ করে রাখে এবং ফায়দা লুটতে থাকে। কিছু সময়ের জন্য যে এদেশ সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হয়েছিল বলে মনে হয়, সে কটা দিন ষড়যন্ত্রের অভাব ছিল না, সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়ে আবার ধর্মের পিঠে সওয়ার হয়ে পড়ে এবং অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক সংবিধান থেকে এসবকে বিদেয় করে সেখানে ধর্মের লেবাস জুড়ে দিয়ে একটা জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলে যা আজো চলছে।

তাদের বিচিত্র পোশাক, কিন্তু চিন্তা একটাই- ধর্মান্ধতা। তারা সংখ্যালঘুদের হত্য করে, বাড়িঘর পোড়ায়, জমি দখল করে, দেশান্তরি করে। আর সংখ্যাগুরুদের জন্য মাদ্রাসা বানায়।

দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক একটা মাদ্রাসা। এসব থেকে এক একজন মোল্লা উৎপাদিত হয়ে চলেছে। রাষ্ট্রটির নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বটে, কিন্তু আসলে ধর্মীয় প্রজাতন্ত্র। তাদের সকাল শুরু হয় পূজা দিয়ে, শেষ হয় পূজা দিয়ে। এই যে চারদিকে ভারতবিরোধিতা, এটা আসলে সাম্প্রদায়িকতারই বহিঃপ্রকাশ। এখানে আর একটা উপাদান আছে সেটা হল বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধিতা, কেননা মুক্তিযুদ্ধে সাম্প্রদায়িক শক্তির পরাজয় হয়েছিল যে পরাজয়ে ভারতে ভূমিকা ছিল। ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরে যারা রাজনীতি করছে, তাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিরোধ থাকলেও ধর্মের বিষয়ে কোনো বিরোধিতা নেই, এইখানে তারা ভাই ভাই।

এটাও একটা রাজনীতি, দেশের যারা অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল অংশ, তারা তাদের এই ভূমিকায় সামান্য হলেও সন্তুষ্ট থাকে এবং ক্ষমতার মধু, যা পায় পান করতে থাকে। বাম বলে পরিচিত রাজনীতিবিদগণও ধর্ম কর্মে বেশ মনোযোগী হয়ে উঠেছে। কারণ একটাই- তারা যে পার্টি চালায়, সেগুলো এক একটা পাতিবুর্জোয়া আদর্শের, ক্ষুদেদের প্রতি তাদের আছে প্রীতি এবং বাসনা আছে বুর্জোয়া হওয়ার। আর কে না জানে এই উভয় চরিত্রই ধর্মের পূজারি এবং ব্যবহারকারী। বিজ্ঞান তাদের দুচোখের কাঁটা, ধর্মগ্রন্থ তাদের পরম প্রিয়। আর ধর্মের কাজ মানুষকে পেছনে টানা, তারা এক একজন সেই পেছনে চলা গাড়ির গাড়োয়ান। দেশ ক্রমশ সেদিকে ধাবমান, মুক্তিযুদ্ধ তাদের সামনে সামান্য চক্ষুলজ্জা। সেই লজ্জা খসে পড়ছে, কোথাও সামান্য একটু লেগে আছে, অচিরেই খুলে পড়বে, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে একটি খাঁটি ধর্মরাষ্ট্র। লেখক : উপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়