এম আমির হোসেন: মূর্খরাই কেবল অভার-কনফিডেন্ট হয়, এর-ওর মতকে যত্রতত্র প্রত্যাখ্যান করে। দুইয়ে দুইয়ে পাঁচ হয়- কেউ এটা বললেও কিছুক্ষণ জিম মেরে থাকি আমি। ভাবি, এটা নতুন কোনো গাণিতিক-বৈজ্ঞানিক বা দার্শনিক জ্ঞান নয়তো, যা এখনো জানা হয়নি আমার? ভাবি, জগতের সব তথ্য বা তত্ত্ব জানা তো আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিনয়ের সাথে জানতে চাই- তার নিজস্ব ব্যাখ্যা। মানুষের সম্ভাবনা অসীম হলেও একক মানুষের জ্ঞানের পরিধি অসীম নয়।
বস্তুজগতে চলাচলের জন্য মানুষের দরকার নিজস্ব এক গাইডলাইন। এই গাইডলাইনে কোনো কনফিউশন থাকা অনুচিত। তবে নিজস্ব গাইডলাইনকে অপরিবর্তনীয় ও সার্বজনীন ভেবে ফেলা চরম মূর্খতা। কোনো জ্ঞান কখনো সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে পারে না। সব জ্ঞানই সবাই নিজস্বতা দিয়ে গ্রহণ-বর্জন করে এবং সেটাই স্বাভাবিক। সব জ্ঞানেরই পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত, পরিবর্তিত সংস্করণ থাকা দরকার।
বস্তুজগতের কনফিউশান মূর্খতা, ভাবজগতের কনফিউশন মূল্যবান। ভাবজগতের কনফিউশন থেকে নবতর জ্ঞান ও বোধের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বস্তুজগতের কনফিউশন বিড়ম্বনা বাড়ায়, কেবল বিলম্ব ঘটায়। আধুনিক মানুষের কর্তব্য এই দুই জগতের সুসমন্বয় করে চলা। (অণুদর্শন)। ফেসবুক থেকে