রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা এ কে অ্যান্টনি অভিযোগ করেছেন যে গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেক এলাকা থেকে সেনাবাহিনীকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং বাফার অঞ্চল তৈরি করা ভারতের অধিকারের ‘আত্মসমর্পণ’। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩]এ কে অ্যান্টনি বলেন, ‘অত্যন্ত খারাপ উদাহরণ তৈরি হল। এরপরে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমেও একইভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কেন ফিঙ্গার ৪ থেকে ৩-এ পিছিয়ে এলেন মোদি? জবাব দিতে হবে সরকারকে।’
[৪] রোববার এ কে অ্যান্টনি বলেন, ‘যখন সীমান্তে ভারত অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং দু’টি ফ্রন্টে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি রয়েছে, এরকম পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাজেটে সামান্য বৃদ্ধি করা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।’
[৫] অ্যান্টনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন সময়ে জাতীয় সুরক্ষাকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিচ্ছে না, যখন চীন আগ্রাসী হচ্ছে এবং পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পশ্চাদপসরণ ভাল, কারণ এতে উত্তেজনা হ্রাস পাবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার মূল্যে এটি করা উচিত নয়। অ্যান্টনি আরও বলেন, ১৯৬২ সালেও গালওয়ান উপত্যকা ভারতের ভূখণ্ড হওয়ার বিষয়ে কোনও বিতর্ক হয়নি।
[৬] এ কে অ্যান্টনির অভিযোগ, ভারত সরকার প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ায়নি কারণ তারা চীনকে ‘সন্তুষ্ট’ করার পাশাপাশি এই বার্তা দিতে চেয়েছিল যে তারা সংঘাত চায় না। তিনি বলেন চীনকে সন্তুষ্ট করতে আমরা চীনা শর্তে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছি। দেশ চীন ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীও প্রতিরক্ষা বাজেটে বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত বছরের সংশোধিত প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় চলতি বছরের বাজেটে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি মাত্র ১.৪৪ শতাংশ। এটি দেশের বিশ্বাসঘাতকতা।
[৭] সম্প্রতি সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান আপাতত প্যাংগং লেকের দক্ষিণ ও উত্তর প্রান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেবে উভয়পক্ষ। তিনি বলেন, এই বিবাদের সময় ভারতীয় সেনার অদম্য সাহস ও দক্ষতার জেরে পাল্লা সবসময়ই ভারতের ভারী ছিল। আলোচনার মাধ্যমে যে সমঝোতা সূত্র বেরিয়েছে, তাতে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি, বলে রাজ্যসভায় জানান রাজনাথ সিং।
[৮] ওই ইস্যুতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, এটা একশো ভাগ ভীরুতা। আর কিচ্ছু নয়। প্রধানমন্ত্রী ভিতু, যিনি চীনের সামনে রুখে দাঁড়াতে পারেন না। তিনি সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগে থুতু দিচ্ছেন। সেনার আত্মত্যাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন বলেও রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে, চীনকে কোনও জমি ছেড়ে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে।