জাহাঙ্গীর লিটন: [২] জেলার সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রকল্প চালু হচ্ছে। জরিপের মাধ্যমে ২১০০ শিশুকে এই প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করার হবে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
[৩] সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলায় ঝরে পরা স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
[৪] এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থাগ্রস্থ ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে। অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। আবার অনেকে বিভিন্ন কারণে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে।
[৫] এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
[৬] উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বেসরকারী এনজিও ডরপের সহযোগীতায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু।
[৭] জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন আরও বলেন উপজেলায় ৭০ টি করে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
[৮] অনুষ্ঠানের উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘ঝরে পরা শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে।
[৯] তাহলে শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমরা শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা চাই। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ