শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:৪৩ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাকিব হুসাইন: সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া জরুরি

শাকিব হুসাইন: একটি শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। একটি শিশুর কাছ থেকে দেশ ভবিষ্যতে অনেক কিছু লাভ করবে—এটা আমাদের সবার আশা। শিশুদের মন আসলে সদ্য ফোটা ফুলের মতো। আর সেই শিশুটি যদি এখন থেকে মাদকের ভয়াবহ কবলে পড়ে যায়, তাহলে সেই শিশুই একদিন দেশ গড়ার বদলে দেশকে কীভাবে ধ্বংস করা যায় সেই পরিকল্পনা করবে।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বা মিডিয়ায় মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে অনেক কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাতে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এর মূলে রয়েছে কিন্তু শিক্ষা। পিতা-মাতা সন্তানকে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ মূল্যবোধের শিক্ষাদীক্ষা দিতে পারেনি। বেশির ভাগ অভিভাবকই তাদের দায়িত্বের প্রতি অচেতন। তারা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। তারা সবাই দিনরাত টাকার পেছনে ছুটে বেড়ায়। যখন তাদের সন্তান কোনো ভয়ংকর কাজ করে ফেলে, তখন নিজেদের দোষারোপ করে। এটাই আমাদের সমাজে দেখা যায়। এরূপ না করে যদি সন্তানের সব দিক খোঁজ করা যায়, তাহলেই ভবিষ্যতে এরূপ ঘটনার সাক্ষী আমরা নাও হতে পারি। একজন শিশুর মানসিকতা ও নৈতিক আচার-আচরণ গড়ে ওঠে তার পরিবার থেকে।

পরিবারের শিক্ষা একটি শিশুর প্রথম শিক্ষা। আর সেই শিক্ষাই যদি পরিবার থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে সন্তান তো খারাপ হবেই—এ কথা বলার রাখে না। আসলে বাবা-মা তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারে না বলেই সন্তানরা বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগে। আসলে পরিবারের শিক্ষাটার গুরুত্ব অনেক বেশি, তা আমরা সবাই জানি; কিন্তু তার পরও কেন আমরা আমাদের সন্তানদের সে শিক্ষা দিতে পারছি না। আসলে সেটা সময় ও অর্থের কারণে। আরেক কারণ হলো তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অতিব্যবহার। আগেই বলেছি টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে সন্তানকে সময় দেওয়ার মতো একটু সময় থাকে না অনেক অভিভাবকের। তাই সন্তান তার পারিবারিক শিক্ষা নিতে পারে না তার পরিবার থেকে। তখনই সে ধাবিত হয় অন্যায়ের পথে। আর একটা কারণ হলো প্রযুক্তির অপব্যবহার। আজকের সময়ে যে ছেলেমেয়েদের হাতে থাকার কথা ছড়ার বই, গল্পের বই ইত্যাদি। কিন্তু তা লক্ষ করা যায় না। ছোটবড় সবার হাতে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি সন্তানকে আরেক ধাপ নষ্ট হওয়ার পথে ধাবিত করে। তাই এখন থেকেই সব অভিভাবককে লক্ষ রাখতে হবে যে তার সন্তান কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে? কোথায় যাচ্ছে? চাকরিজীবী অভিভাবকদের একটা সময় তার সন্তানকে দেওয়া। তাদের নিয়ে গল্প, কৌতুক করা। খোলা মাঠে তাদের নিয়ে যাওয়া। তাদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়া। বিভিন্ন ভালো কাজে তাদের উৎসাহ দেওয়া। এতে তারা সর্বদা হাসিখুশিতে থাকবে।

শিশুদের হাতে নিত্য নতুন বই তুলে দিতে হবে। মজার মজার বই পড়তে দিলে তারা অনলাইন জগত্ থেকে বেরিয়ে আসবে। এতে তাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত হবে, তেমনি মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হবে না। সমসময়িক বিষয় নিয়ে জানতে পারবে। গান, নাটক ও ছবি আঁকার চেষ্টা করবে। এর ফলে তাদের কল্পনার জগত্ সমৃদ্ধ হবে। এমনভাবেই একদিন তারা সমাজে সুশিক্ষিত মানুষ হবে। তারা ভাববে দেশ ও জাতির কথা।

এসব কাজ যদি অভিভাবকেরা করতে পারে, তাহলেই সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা যাবে। সন্তান যেন কোনো কারণেই অন্যায় পথে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত অভিভাবকের দায়িত্ব। এজন্য আমাদের পারিবারিক কাঠামোকে সুসংহতভাবে গড়া অপরিহার্য।

লেখক: শিক্ষার্থী, দিনাজপুর সরকারি কলেজ

সূত্র : ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়