নুরুল আলম: [২] মোমবাতি প্রতিকের মেয়র প্রার্থীর বাড়ি হামলা। কাউন্সিলার প্রার্থীর অফিস ভাংচুর, বহিরাগত প্রবেশ, আতংক সৃষ্টি। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দিন রাত সংঘর্ষ, ভাংচুর, সহিংস ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
[৩] ১নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলার প্রার্থী অজয় দত্ত ও সুজন সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সকাল ১১টার দিকে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় পক্ষে হতাহত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিছু উশৃঙ্খল দুস্কৃত যুবক ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতিকের ফারুক বাহাদুরের বাড়িতে হামলা চালায়।
[৪] ইট পাটকেলের কাঁেচর আঘাতে তার মা ফাতেমা বেগম (৬০) গুরুতর আহত হয়, বাড়ির ফটকে তালা মেরে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেয়।
[৫] পরবর্তী এসব যুবকেরা প্রতিপক্ষ দল বিএনপি, এলডিপি, মোমবাতির পোষ্টার ব্যাপকহারে ছিঁেড় ফেলে। সন্ধ্যায় ৭টার দিকে চন্দনাইশ সদরে মোস্তফিজের চা দোকানে একই দলের অভ্যন্তরীন দ¦ন্ধে ভাংচুর ঘটনা ঘটে।
[৬] এ সময় দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রার্থী নাসির উদ্দিনের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে তার ২ সমর্থক নাজিম (৩৫) ও মোমেন (৩২) কে আটক করে কোর্টে চালান দেয়।
[৭] পুলিশ চলে আসার পরপর ৭/৮ জন মুখোশধারী যুবক নাসিরের ক্যাম্প ভাংচুর করে। এদিকে বহিরাগতদের ব্যাপক প্রবেশ ও কেন্দ্র দখলের খবরে ভোটারেরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে ৪জন মেয়র, ৯জন মহিলা কাউন্সিলার ও ৪৭জন কাউন্সিলার প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
[৮] পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯৯৭। ১৬টি কেন্দ্র, ৮৩টি বুথ, ২৭৮জন ভোট গ্রহন কর্মকর্তা, ৯জন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিজিবি, নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মিনহাজুল জানিয়েছেন। সম্পাদনা: আঞ্জুমান আরা