শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুনশি জাকির হোসেন: জিয়ার বিরুদ্ধে অপকর্মের ফিরিস্তি লিখে শেষ করা যাবে না!

মুনশি জাকির হোসেন : ভুল তো ভুলই। সেটি হাজার জন, কিংবা লক্ষ্যজন বললে, করলেও ভুল। সমস্যা হলো, ব্যক্তির ভুলের দায় প্রতিষ্ঠানকে বহন করা নিয়ে। ব্যক্তির ভুল সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বাস্তবায়ন করা নিয়ে। আওয়ামীলীগ একটি রাজনৈতিক দলই নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক যেমন আছে তেমনি আমজনতাও আছে। এই দলের নেতাকর্মী বড় জোর ২ লাখ, ভোটার আছে ২ কোটি। এই ১ কোটি ৯৮ লাখ লোকের সমষ্টিতে এই রাজনৈতিক দল। ২/১ জনের ব্যক্তিগত চিন্তা, সিদ্ধান্ত দলের উপর চাপিয়ে দলকে অনাহূত বিতর্কে ঠেলে দেওয়া রীতিমত কাণ্ডজ্ঞানহীন  কর্মকাণ্ড। এর দায় ওই সকল ব্যক্তি বহন করবে না, বহন করবে পুরো রাজনৈতিক দল।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর যাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন নেমে এসেছিল তাদের ৯৯ শতাংশই ছিলো ওই ১ কোটি ৯৮ লাখ সংখ্যার মধ্যে। ৯৬-২০০১ সালে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলো তাদের তেমন কিছুই হয়নি। জিয়ার বিরুদ্ধে অপকর্মের ফিরিস্তি লিখে শেষ করা যাবে না। ওই সকল অপকর্ম জাতীয় দলিল হিসেবে প্রকাশ করার দাবি কেউ করছে না। কর্নেল তাহের হত্যার পেছনে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ, জিয়ার সময়ে শতশত মুক্তিযোদ্ধা সেনার হত্যা, সংবিধান ধ্বংস করা, রাজাকার পুনর্বাসন করা, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, শিক্ষানীতি ধ্বংস করা, এরকম তালিকা করলে কয়েক ডজন তালিকা করা সম্ভব। আপনি এগুলো নিয়ে কস্মিনকালেও সোচ্চার নন।

[২] ত্রিশূল : একপক্ষ সংবিধান লঙ্ঘন করল, আরেকপক্ষ সেটির বৈধতা দিলো। আরেকপক্ষ মুখে তালা দিয়ে বসে থাকলো। সামরিক শাসন, উচ্চ আদালত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষকগণ। উনাদের সকলেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে সর্বত শিক্ষিতজন ছিলেন। সামরিক শাসকগণ খারাপ সেটি না হয় মানলাম। উচ্চ আদালতের দায়িত্ব ছিলো সংবিধানের অভিভাবকত্ব করা, সংবিধান সংরক্ষণ করা। এটি তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিলো। এগুলো করতে তারা আইনত বাধ্য ছিলো। এখানে এবং যদি তবে দিয়ে মনগড়া তত্তে¡র প্রয়োগের সুযোগ ছিলো না। তারা সংবিধান রক্ষা তো করেনইনি, উল্টো সকল অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিলেন। ঢাবি এবং রাবির আইন বিভাগের শিক্ষকগণ একাডেমিক পারস্পেক্টিভেও একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না। না করলেন শ্রেণি কক্ষে, না করলেন সংবাদ মাধ্যমে, না করলেন গবেষক হিসেবে। এতো বড় বড় অপরাধ করার পরও উনাদের নজিরবিহীন ব্যর্থতা, অযোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়