নূর মোহাম্মদ: [২] মানবাধিকার সংগঠন ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বৃহস্পতিবার আবেদনটি দাখিল করেছেন। এছাড়া বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
[৩] এর আগে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক, পরিবহন পুলের অতিরিক্ত সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
[৪] ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, কোভিডের শুরুর দিকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ ছিল। ২৬ শে মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত পুরো দেশ ছিল লকডাউন। তারপর থেকে সীমিত আকারে সরকারি অফিস আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি গাড়ি চালকরা মাসে সর্বোচ্চ ২৫০ ঘন্টা ওভারটাইম এর জন্য বেতন ভাতাদি পেতে পারেন। যেহেতু করোনাকালীন সময় অফিস-আদালত বন্ধ ছিল সেহেতু সরকারি ড্রাইভারদের ওভারটাইম করার কোন সুযোগই ছিল না।
[৫] তিনি বলেন, ওভারটাইম না করেও ড্রাইভাররা সরকারি রাজস্ব থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেছেন। যা শুধু বেআইনি নয় বরং অনৈতিক ও সরকারি চাকরি আইনের পরিপন্থী এবং দন্ডবিধি অনুযায়ী প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।