শিরোনাম
◈ 'মাকে লোকে ভয় দেখিয়েছিল, মেয়ে এই কাজ করলে বিয়ে হবে না' ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে বিশেষ বার্তা ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ◈ সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান গ্রেফতার ◈ ডলার সংকট–রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিদেশি-প্রবাসীদের শেয়ারবাজার বিমুখতা ◈ ভারতীয় ক্রিকেট বো‌র্ডের ক‌্যাশবা‌ক্সে ৫ বছরে ১৫ হাজার কো‌টি টাকা  জমা  ◈ আ'তঙ্কে কাঁপছে ভারত, সেনাপ্রধানের সরল স্বীকারোক্তি! (ভিডিও) ◈ এবার জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ◈ ভারত আমাদের প্রয়োজন নেই, বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চাই: ন্যাটোর অস্ট্রিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান গুনথার ◈ ওবায়দুল কাদের কোনঠাসা, শেখ হা‌সিনার কা‌ছে গুরুত্ব পা‌চ্ছেন যে তিন নেতা‌!

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২৫, ০১:১৩ রাত
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, সেই জায়গায় নির্মিত হবে জুলাই ‘গণমিনার’

রাজধানীর বিজয় সরণিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সম্বলিত ৭টি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে এই ম্যুরালের জায়গাটিকে উন্মুক্ত স্থান করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এরইমধ্যে সেখানে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেউ কেউ একে ‘ইতিহাস মুছে ফেলার প্রয়াস’ বলেও মন্তব্য করেন।

গত ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরা সাতটি দেয়াল নিয়ে গঠিত ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে ওই স্থানটি একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন বাকি অংশও পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হলো।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।’ আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এর একটি দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি।

নির্মাণ কমিটির আরেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খোরশেদ আলম। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় পুরো বিজয় সরণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে।’

এদিকে, ২৫ জুন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সপ্তম করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এ জুলাই শহীদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ এবং একটি উন্মুক্ত স্থান তৈরি করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘সপ্তম করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি কনসেপ্ট তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর কাজ চলছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়