শিরোনাম
◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ফয়সালের বাবা-মার স্বীকারোক্তি, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ মেক্সিকো কংগ্রেসে উত্তপ্ত বিতর্কে হাতাহাতি, চুল টানাটানির ভিডিও ভাইরাল ◈ হাদির জন্য দোয়া ও দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ◈ ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০২:০১ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রোগী মৃত্যু নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে তান্ডব, জরুরি বিভাগে ভাংচুর

এএইচ রাফি,: [২] ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

[৩] হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিলের বাবুল মিয়ার ছেলে আলভী এলাহী বুধবার আখাউড়া উপজেলার টানমান্দাইলে তার নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে চেহলামে যায়। সেখানে দুতলার ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়।

[৪] গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সার্জারী বিভাগের ভর্তি প্রদান করেন। সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা আলভী মারা যান। আলভী মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা চিকিৎসার গাফেলতির অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগে হামলা করে।

[৫] এসময় ভাংচুর করার হয় জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের কাঁচে ঘেরা বেষ্টনী ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা। প্রাণে রক্ষা পায় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবিএম মুছা চৌধুরী। পুলিশ এসে জরুরি বিভাগে গেইট বন্ধ করে বিক্ষুব্ধদের আটকে রাখে।

[৬] জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এবিএম মুছা চৌধুরী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় রোগীটি আসার পরই তার স্বজনদের জানানো হয়, তার অবস্থা আশংকাজনক। রোগীকে আপনারা ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে।

[৭] কিন্তু জানানো হয়, রোগীর লিগ্যাল কোনও অভিভাবক এখানে নেই। পর চিকিৎসা দিতে সার্জারি বিভাগে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার মৃ্যি হয়। মৃত্যুর পর উত্তেজিত স্বজনরা আমাদের উপর হামলা করে।

[৮] তবে মৃত আলভীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, 'জরুরি বিভাগে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হলে কোনও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি দীর্ঘ সময় ধরে। ফেলে রাখা হয়েছে আহত আলভীকে। চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে'।

[৯] জেলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আমি নিজেও এসেছি। আমরা ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো'। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়