ডেস্ক নিউজ: মাত্র ৩ সপ্তাহে ৭ গ্রামে অন্তত ৫ শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান গৃহস্থরা।
প্রতিবছর বন্যার শেষে অল্প পরিমাণে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিলেও এবার ভয়াবহ আকারে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে অসংখ্য গরু। রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়র জানান, কৃষ্ণনগর, বাণীপুর, কোনাগাঁও, নলুয়া, ঢালাগাঁও, বেরীগাঁও, বাঘমারা প্রভৃতি গ্রামের দেশি বিদেশি গরুর মধ্যে ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ইতোমধ্যে অন্তত ৫ শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ রোগ প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। একাধিকবার শহরের প্রাণিসম্পদ বিভাগে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তারা। জাগো নিউজ
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্ষুরারোগে আক্রান্তের আগে গরুর দেহে উচ্চমাত্রায় জ্বর আসে। এই জ্বর থেকে পায়ের ক্ষুরের মাঝখানে ফোসকা হয়ে ফেটে গিয়ে শ্লেষ্মা বের হয়। এই শ্লেষ্মা থেকে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এই কারণে সঠিকভাবে হাঁটতে পারে না গরু। এই ফোসকার শ্লেষ্মা থেকে গরুর অন্যান্য স্থানে রোগের বিস্তার ঘটে। গরুর মুখের ভেতরে, জিহ্বায়, দাঁতের মাড়িতে ফোসকা উঠে লালা পড়ে। খাবার খেতে পারে না। এই কারণে গরুর দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে। ওজন কমতে থাকে। গাভীর দুধ কমে আসে।
এছাড়া গাভীর দুধ থেকে বাছুরে এই রোগ ছড়ায়। শ্লেষ্মা থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ক্ষুরা রোগ। এজন্য আক্রান্ত গরু আলাদা ও পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখার প্রতিও গুরুত্ব দিচ্ছেন গৃহস্থরা।
কৃষ্ণনগর গ্রামের খামারি আব্দুল বারিকের ৭টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর পায়ে, মুখে ও জিহ্বায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আক্রান্ত গরুর মধ্যে কয়েকটি আছে বিদেশি। সবগুলো দুধওয়ালা। এখন দুধ কমে গেছে। ওজনও কমে গেছে। রোগ প্রতিরোধে ক্ষত স্থানে পটাশিয়াম লাগিয়ে দিচ্ছেন। রোগ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।