সমীরণ রায়: [২] অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১০ হাজার ২২০ কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে। কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক, উন্নয়ন ও সাম্যবিরোধী সুযোগ আগামী অর্থবছরে বহাল রাখা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক অঙ্গীকার, গণতান্ত্রিক চর্চা, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
[৩] মঙ্গলবার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের উপস্থাপনায় সংলাপে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
[৪] আলোচনায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক এই সুযোগ দ্রুতই বন্ধ করা উচিত। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া সংবিধান ও সাম্যের পরিপন্থী।
[৫] সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্ষমার নামে নামমাত্র কর দিয়ে অবৈধ অর্থ বৈধ না করার সুযোগ বন্ধ করা জরুরি।
[৬] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দুর্নীতিজাত অনুপার্জিত উৎস, উপায় ও উপলক্ষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা।
[৭] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, কালো টাকা লালনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে না চাইলে সমস্ত ট্রানজেকশনকে তদারকির আওতায় আনতে হবে।
[৮] ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, কালো টাকা সাদা করা সাংবিধানিক ও নীতি পরিপন্থী।
[৯] প্রতিষ্ঠানটির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আবাসন খাতে দেয়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পক্ষান্তরে কালো টাকা বাড়াচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :