কায়সার হামিদ: [২] মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।কারণ ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট মাসে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীরা রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে নারীদেরকে গণধর্ষণ করলে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাচাঁতে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।যেহেতু আবারও যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী হাতে ক্ষমতা গেল তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমান অনিচ্ছা প্রকাশ করতে পারে।
[৩] যার ফলে আন্তর্জাতিক ছাপ মিয়ানমান মানতে পারে কিনা সন্দেহ রয়েছে জানিয়ে তুমব্রু শুন্য রেখায় অবস্থি, রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ,উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ, কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা, হামিদ হোসন, টেকনাফ মোছনি ক্যাম্পের নুরুল ইসলাম বলেন, এই মুহুর্তে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত গেলে আবারও জোর জুলুমের শিকার হতে হবে।তারা বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে অপসারণের জন্য আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
[৪] রোহিঙ্গা নেতারা আরো বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার এই ঘৃণ্য চেষ্টার নিন্দা জানাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন এগিয়ে আসে এবং যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।
[৫] এদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর কক্সবাজার, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে এই নিরাপত্তা জোরদার করে বিজিবি। একইসঙ্গে সীমান্তের বিভিন্ন চৌকিতে বিজিবির সদস্যও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি রেখে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত চৌকিগুলোতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
[৬] বিশেষ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম, চাকঢালা ও কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
[৭] কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহম্মদ জানিয়েছেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সীমান্তে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে বিজিবি।
[৮] বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
[৯] উল্লেখ্য, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিসহ বেশ কিছু শীর্ষ নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পুরো দেশ এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।