[২] দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা একটি তুলনামুলক জরিপ ও বিশ্লেষণ সম্প্রতি তুলে ধরেছে। এখানে এ রাষ্ট্র বিজ্ঞানী কয়েকটি উদাহরণ দেন।
[৩] মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর নিক্সনকে গদি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বাংলাদেশিদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল। নিক্সন এই গণহত্যা বন্ধ করতে কোনো ভুমিকা রাখেননি।
[৪] জিমি কার্টারের সময় পাকিস্তানে সামরিক একনায়ক জিয়াউল হক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসি দেন।
[৫] রিগ্যান চিলির পিনোশেকে দেউলিয়া করে ছেড়েছিলেন। রিগ্যান আফগানিস্তানের শরণার্থীশিবিরের জন্ম দেন
[৬] জর্জ বুশ সিনিয়র গদিতে বসেই তাঁর ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানের গোলা তারাবাজির মতো ছুড়ে বাগদাদের আকাশকে আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছিলেন।
[৭] বিল ক্লিনটন মনিকা লিউনস্কির শ্লীলতাহানির জন্য অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন,তখন গণমাধ্যমের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য আফগানিস্তান ও সুদানে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলেন।
[৮] আমেরিকানরা নিশ্চিতভাবেই জর্জ বুশকে ভালোবেসেছিলেন, না হলে তাঁরা তাঁকে দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন না। বুশ বিশ্বাস করতেন, যুদ্ধই আমেরিকান প্রেসিডেন্টের প্রধান কাজ। ইরাক ও আফগানিস্তানকে তিনি তছনছ করেছেন। গুয়ানতানামো ও আবু গারিব কারাগারের মতো নিপীড়নখানা তিনিই চালু করেছিলেন।
[৯] ওবামা আমেরিকানদের সবচেয়ে প্রিয় প্রেসিডেন্টদের একজন। তিনি বুশের মতো হত্যার দায় না নিয়ে লিবিয়ায় মানুষ হত্যার দায়িত্ব অ্যালগরিদম ও ড্রোনের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। নোবেল শান্তিজয়ী ওবামার শাসনামলের শেষ দিকে মার্কিন ড্রোন থেকে ঘণ্টায় তিনটি করে বোমা লিবিয়া, আফগানিস্তান ও অন্যান্য স্থানে পড়ত।