স্পোর্টস ডেস্ক : [২] সিরিজটা যেন তার কাছে অগ্নিপরীক্ষা। চলতি সিরিজের মাঝেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সিডনি ও ব্রিসবেন, দুই জায়গাতেই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময় দর্শকদের দিক থেকে উড়ে আসা ওরকম নোংরা শব্দ তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের কার্যসিদ্ধি হয়নি। তারা মুহম্মদ সিরাজের আত্মবিশ্বাস টলাতে পারেননি। বরং সিরাজকে আরও শক্তপোক্ত করে গড়ে দিয়েছে। সেই সিরাজ ব্রিসবেন টেস্টে অসি ব্যাটিং লাইনের কোমর ভেঙে দিয়েছেন একাই।
[৩] ব্যাক আপ বোলার হিসাবে তিনি টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলেন। কে জানত, সেই সিরাজই অস্ট্রেলিয়াকে এমন নাকানি-চুবানি খাওয়াবেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পুরোটা জুড়েই যেন সিরাজ ছড়িয়ে রয়েছেন। তার বাবা স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে একদিন দেশের জার্সি গায়ে টেস্ট খেলবে। বাবার স্বপ্ন বাস্তবের রূপ দিয়েছেন সিরাজ। কিন্তু তার এই প্রাপ্তি যেন কিছুটা ম্লান হয়েছে বাবার মৃত্যুতে।
[৪] সেই সিরাজ বাবার কথা মনে করে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন। সেই সিরাজকেই দর্শকদের কটুক্তি হজম করতে হয়েছিল। কিন্তু এসবই যেন ভারতীয় পেসারকে আরও শক্ত করেছে। ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সিরাজ। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি আলাদা শক্তি ও সাহস অর্জন করতে পেরেছিলেন বলে জানান।
[৫] সিরাজ জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে মায়ের একটা ফোন কল তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। বাবার শেষ যাত্রায় পাশে থাকতে পারেননি সিরাজ। সেই কষ্ট ও আফসোস তার মুছেছে হয়তো। কারণ, তিনি দেশকে গর্বিত করেছেন। মাও তাকে নিয়ে গর্বিত। সিরাজ বলছিলেন, ‘মায়ের গলা শোনার পর আলাদা জোর পেয়েছিলাম।
[৬] ব্রিসবেনে নামার আগে একটু টেনশনে ছিলাম। তবে মা সাহস জুগিয়েছে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য। বাবার মৃত্যুর পর মনের জোর বজায় রাখা আমার কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এখন ঠিক আছি। এরপরই সিরাজের সংযোজন, কঠিন পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেট আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে।- এনডিটিভি/ আজকাল