বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে সুইডিশ সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য লটটা জনসন ফারনারভে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্তেনেয়ারদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) লেখা এই চিঠিতে বাংলাদেশের নির্বাচন, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিকব্যবস্থার ব্যাপারে সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেবেন, তা জানানোর জন্য আগামী ২৫ ডিসেম্বর নাগাদ সময় বেঁধে দিয়েছেন।
নিচে চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
‘এখন বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, যখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এখনো কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, যদিও তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং গুমসহ অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনাও তদন্ত শুরু করেছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
প্রতিশ্রুত নির্বাচনের আগে মানবাধিকার সুরক্ষা আরো জোরদার করতে হবে। সব ইচ্ছাকৃত গ্রেপ্তার ও আটক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে বাংলাদেশে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যমান আছে, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দল যেন কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়া অংশ নিতে পারে—এর নিশ্চয়তা দিতে হবে, যার মধ্যে বিএনপি দল ও এর নেতা তারেক রহমানও অন্তর্ভুক্ত।
এই প্রেক্ষাপটে আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমের স্তেনেয়ারদকে জিজ্ঞাসা করতে চাই :
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে, যেখানে বিএনপিসহ সব দল কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়াই অংশ নিতে পারে—এমন নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে মন্ত্রী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?’ উৎস: কালের কণ্ঠ।

