রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মো. আশিকুর রহমান রোহিত নামে একজনকে (২০) খুনের ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পালিয়ে ছদ্মবেশে থাকা এই আসামিদের দশদিন পর আটক করা হয়। ঘটনায় জড়িত দুই আসামির মধ্যে সাইফুল ইসলাম বাবু ভোলা জেলার লালমোহন এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে। মহিউদ্দিন নামের অপর আসামি নগরীর ডিসি রোডের আলি করিমের ছেলে।
[৩] সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
[৪] তিনি বলেন, সোমবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপির বাকলিয়া থানার একটি টিম নগরীর কদমতলী ও রাজধানী ঢাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মো. মহিউদ্দিন (২৯) ও সাইফুল ইসলাম বাবুকে (২০) গ্রেপ্তার করে।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, রোহিত ডিসি রোডে অবস্থিত মা মনি ক্লাবের সদস্য। ঘটনার দিন সাহাবুুদ্দিন প্রকাশ সাবু নামের একজন ও গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম বাবু মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় গ্রেপ্তার আরেক আসামি মহিউদ্দিন রোহিতকে ধরে রাখেন। পরে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মহিউদ্দিন তার মুখের দাঁড়ি ফেলে দেন। আরেক আসামি সাইফুল ইসলাম বাবু তার বেশভূষা পরিবর্তন করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ।
[৬] সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এস এম মেহেদী হাসান আরও বলেন, এ ঘটনার সাথে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের কোনোও সম্পর্ক নেই। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনার সূত্রপাত।
[৭] ঘটনার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য কেউ জড়িত থাকলেও আশা করি জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসবে।
[৮] উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে আশিকুর রহমান রোহিতকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপ কমিশনার চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) শাহ মুহাম্মদ আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মো: রাইসুল ইসলাম , বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মঈন উদ্দিন। সম্পাদনা: জেরিন