শিরোনাম
◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হরিরামপুরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর বরখাস্ত

শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক খণ্ডকালীন শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

এ ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন সভাপতি। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুইজন হলেন, বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান ও খণ্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলাম। এর আগে এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসানের কক্ষে নকল পাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার আগে মেহেদী হাসান ও জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে। বিদ্যালয়ের করা প্রশ্নের সাথে ফাঁসকৃত প্রশ্নের অনেক মিল পাওয়ায় তাদের দুজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে ইংরেজি ১ম পত্র প্রশ্ন বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় যে প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ছাপানো হতো, সেই প্রতিষ্ঠানকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ৭ দিন পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তের জন্য এক সদস্যের কমিটি করেছেন বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির।

অভিযুক্ত খণ্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমি এসবের সাথে সম্পৃক্ত নই। অপরদিকে জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। ইতোপূর্বে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় খণ্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সভাপতি এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করবো। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদ্যালয়ের সকল কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা চৌধুরী বলেন, এ ঘটনা জানার পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বাতিল করে নতুন প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়