কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন অগ্রসরমান ও সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে চাই। এক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
[৩] ‘সুরের ধারা’ আয়োজিত পৌষ উৎসবে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য ও সৃজনশীল অর্থনীতির বিকাশে তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
[৪] আমি চাই আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের সকল প্রান্তে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি তুলে ধরা যেতে পারে।
[৫] বাঙালি জাতি সবসময় উৎসবমুখর। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রূপ প্রকাশ পায় বিভিন্ন মেলা ও উৎসবের মাধ্যমে। উৎসব এদেশের মানুষের ঐক্য ও মিলনের প্রতীক যা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সামাজিক বন্ধনকে অত্যন্ত দৃঢ় করে।
[৬] তিনি বলেন, পৌষ মেলার এ আয়োজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । পাশাপাশি তাদের তৈরি তাঁতবস্ত্র, হস্তশিল্পসহ দেশীয় উৎপাদিত বিভিন্ন অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।