নূর মোহাম্মদ: [২] নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, বিছিন্ন ঘটনাকে বিছিন্ন ভাবেই দেখা উচিত। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তা থেকে কিভাবে উত্তোরণ করা যায়, সেটা পুলিশ বাহিনীকে ভেবে দেখা উচিত।
[৩] বুধবার শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আল মামুনের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তার আওতার মধ্যে থেকেই আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়েছেন। আসামিরা জুডিশিয়াল কমিটির বাইরে আর কারো কাছে নির্যাতনের কথাও বলেননি।
[৪] আদালত বলেন, ভিকটিমকে মেরে নদীতে ফেলার যে জবানবন্দি তাতে আসামিদের স্বার্থ কী? ফাঁসি হবে জেনেও আসামিরা কি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছে? আসামিরা মেয়েটিকে হত্যার কথা তাহলে কী শখ করে বলেছে? এটা দুর্ভাগ্যজনক।
[৫] আদালত বলেন, ভারতে পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় কোন ব্যক্তিকে কটু কথা বলা হলেও সেটা অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এক পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ভারতে রিমান্ডের সময় আইনজীবী রাখার সুযোগ আছে। তারা সিআরপিসি সংশোধন করেছে। আমরা তো কোর্ট থেকে আইন সংশোধনের কথা বললে নানান প্রতিক্রিয়া হয়।
[৬] মনসুরুল হক বলেন, ব্লাস্টের মামলায় রিমান্ডে আইনজীবী রাখার সুযোগ আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওই মামলাটির রিভিউ বিচারাধীন রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগকে এ বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট আইন সংশোধনের নির্দেশ না দিয়ে শুধু পর্যক্ষেণ দিতে পারেন। তখন আদালত বলেন, হাইকোর্টের কাজ কী তাহলে রুল মঞ্জুর, খারিজ আর জামিন দেওয়া?