ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ উসমান সিকদার (৩৮)নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।তিনি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
[৩] শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভোরে সাবরাং ইউপি কচুবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।৪]এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন।
[৫] উসমান সিকদারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার। এ সময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করে আহত করেন। এরপর উসমান সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৬] টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে উসমান শিকদার মারা গেছেন। তাঁর বুকে, পেট ও পিঠে ৩টি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
[৭] এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম বলেন,অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী তালিকাভুক্ত।পুলিশ নিহত যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।