গোলাম সারোয়ার: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের যাত্রাপুরে মাজারে গান বাজানো নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম নূরুল ইসলাম (৫০)। সে সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আশুগঞ্জের যাত্রাপুর গ্রামের আয়েত উল্লাহ শাহ মাজারে কিছুদিন আগে উপজেলার চর চারতলা গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন শাহ নামে এক যুবককে মাজারের খাদেম হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেয়ার পর প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে মাজারে নারী নিয়ে গান বাজনা ও মাদকের আড্ডা জমতে শুরু করে। বিষয়টি মাজারের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা নুরুল ইসলাম গান বাজনা না বাজানোর জন্য বাধা দেন। এর জেরে নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মোশারফ, মোয়াজ্জেম ও মাজারের খাদেম আল আমিন শাহের সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
[৪] বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতেও উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে রোববার বিকেলে নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মোশারফ, মোয়াজ্জেম ও মাজারের খাদেম আল আমিন তার লোকজন নিয়ে নুরুল ইসলামের ওপর হামলা করে। এ সময় বল্লম দিয়ে নুরুল ইসলামের বুকে আঘাত করলে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসাপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
[৫] নিহত নুরুল ইসলামের ভাই আজিজুল হক বলেন, পীর আয়েত উল্লাহ শাহ মাজারের খাদেম আল আমিন শাহ প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে জুয়া, মাদক ও গান-বাজনার আসর বসান। এ ছাড়া নারীদের নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন। বিষয়গুলো নিয়ে মাজারের খাদেম আল আমিন শাহকে বাঁধা দিলে রোববার বিকেলে আল আমিন শাহ তার গ্রাম চারতলা থেকে অর্ধশতাধিক লোক ও তার মামাতো ভাই মোশারফ ও মোয়াজ্জেমকে সঙ্গে নিয়ে আমার ভাই নুরুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা তার ভাই নুরুল ইসলামের বুকে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন।
[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অ্যাডিশনাল এসপি (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন জানান, মাজারের খাদেম নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজন মহিলাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী