ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দিন, ক্ষণ, স্থান ঠিক করে মাইকে মারামারির ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসা বড় ভাই আ. কদ্দুস মিয়া মুচলেকায় ছাড়া পেয়েছেন। ‘এ ধরনের ঘটনা আর করবে না’ বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় এমন লিখিত অঙ্গীকার করলে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পলাশবাড়ী থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিতি ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার জমি নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দিন, ক্ষণ, স্থান নির্ধারণ করে মাইকে মারামারির ঘোষণা দেন পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরীহরিণমারী গ্রামের মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে আ. কদ্দুস মিয়া (৬৫)। এ দিন রিকশায় করে গোটা গ্রামে মাইকে ঘোষণা দেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছোট ভাই হাবিজার সঙ্গে মারামারি করবেন নিজেদের পানের বরজ এলাকায়।
৪৭ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে আরও বলতে শোনা যায়, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, আরও রক্ত দেব।’ এমন অদ্ভুত ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিমিষেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কেন এমন করলেন, জানতে চাইলে আ. কুদ্দুস মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি আমার বাপের যতটুকু জমি পাব, ততটা ভোগ করতে পারি না। ছোট ভাই হাবিজার জমি দখল করে রেখেছে। অনেক সালিস, বৈঠক হয়েছে, মারামারি, রক্তা-রক্তি হয়েছে, কিন্তু সে জমির দখল ছাড়ে না। বাধ্য হয়ে এ রকম করেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্রু বলেন, ‘খবর পেয়ে বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির অনুরোধে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
সূত্র: সমকাল