সুইটি আক্তার: [২] করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের বিস্তার ঠেকাতে, ফ্রান্স সাময়িকভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর; সারা ইউরোপের কমপক্ষে ১০ হাজার লড়ির ড্রাইভার ইংলিশ চ্যানেলের পাশে অপেক্ষা করছে। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] জুয়ান এনড্রেস, ৫২ বছর বয়সী একজন স্প্যানিশ লরি ড্রাইভার। প্রতিবছরের মতো এবছরও তিনি পরিবারের সঙ্গে বড়দিনের ছুটি কাটানোর আশা করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছরের ড্রাইভিং ক্যারিয়ারে তিনি কখনো ভাবেন নি, এক টুকরো হ্যাম আর স্যান্ডউইচ খেয়ে দীর্ঘ যানজটে গাড়িতে বসেই তার এবছরের বড়দিন কাটাতে হবে।
[৪] কূটনৈতিক জটিলতার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি এটাকে এক ধরনের অন্যায়ই বলবো। আজ এক সপ্তাহ ধরে আমি ইংলিশ চ্যানেলের পাশে অপেক্ষা করছি। ফ্রান্সে শুধু তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাদের করোনা টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসছে। করোনা টেস্ট সহ অন্যান্য কাজ খুব ধীর গতিতে এগুচ্ছে। প্রতি ১০ মিনিটে গাড়ি মাত্র ৫০- ১০০ মিটার সামনে যেতে পারছে, ফলে দীর্ঘ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
[৫] এদিকে ফ্রান্স বলছে, দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে এধরনের পদক্ষেপ নিতে তারা বাধ্য। তবে এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করছেন, খুব শীঘ্রই তারা এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে।সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল