ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছে নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষায় নিরাপত্তা বা নজরদারীর চেয়ে নাগরিক দায়িত্ববোধের জাগ্রত করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে তারা। পুলিশ বলছে ইতিমধ্যে রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাস্কর্যগুলো ঘিরে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য সচেষ্ট তারা। ডিবিসি নিউজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ছয় দফা, ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রাম ,৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব আন্দোলন ও সংগ্রামের সূতিকাগার। ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে আছে এই ক্যাম্পাসে নির্মিত ভাস্কর্যগুলো।
প্রত্যেকটি ভাস্কর্য একেকটি সংগ্রামের গল্প। ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ এসব ভাস্কর্য মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে সগৌরবে।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতার চেষ্টা। রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুর। একই জেলায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর- এসব নানান ঘটনা বিবেচনায় রাজধানীর ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানোর কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, "ভাস্কর্যের নিরাপত্তা দিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং যেখানে আছে সেখানকার কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে কাজ না হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
উন্মুক্ত ক্যাম্পাস- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে সবচেয়ে বেশী ভাস্কর্য। জানতে চাইলে প্রক্টর জানান- নিরাপত্তার পাশপাশি নাগরিক দায়িত্ববোধও জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, "এই যে সংকীর্ণ মানসিকতা- সেখান থেকে সরে আসাই বড় সমাধান। তবে আমাদের প্রক্টোরিয়াল টিম এখন ২৪ ঘন্টাই সজাগ।"
রাজধানীর ইস্কাটন, রুপসী বাংলা মোড়, আগারগাঁ নিকুঞ্জ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আছে ভাস্কর্য। যাতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়াও দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয়েছে।
ডিএমপি'র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, "ঢাকার ভাস্কর্য গুলোর জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্যগুলোর জন্য স্থায়ী টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
পলিশ জানায়, নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্যের উপর কোন রকম আঘাত বরদাস্ত করা হবে না।